ব্রিটিশ আমলেও কত জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

দেখুন ঢাকায় ব্রিটিশ আমলেও কত জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
১) পথঘাট সাজানো হতো
২) সারা শহরে ঘটা করে পালন হতো।
৩) মহল্লায় মহল্লায় মীলাদ মাহফিল ও খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতো।
৪) নবাব পরিবারগুলোও মীলাদ মাহফিল করতো।
৫) বিশেষ প্রতিযোগিতা মাহফিল আয়োজন করা হতো।
৬) অসংখ্য মানুষ এ অনুষ্ঠান দেখতে আসতো।

(তথ্যসূত্র: এই ঢাকা সেই ঢাকা কত স্মৃতি কত কথা। লেখক- ড. মুহম্মদ আলমগীর)

আজ থেকে ১০০/১৫০ বছর আগেও এত জাঁকজমকের সাথে পালিত হতো তাহলে বর্তমানে এত বিরোধিতা কেন?
বর্ণনায় বোঝা যায় রোজার ঈদের চাইতেও বেশি আনন্দ ও আয়োজন হতো ১২ রবিউল আউয়াল শরীফে সে সময়। আর আজ বিদয়াত হারাম ফতোয়াবাজী হয় !!!
মূলত যা প্রমাণ হয় সেটা হচ্ছেতখনও ওহাবী মতবাদের শিকড় এত দৃঢ় ভাবে স্থাপিত হয়নি। পুরো দুনিয়াতেই পালিত হয়েছে কেউ বিরোধিতা করে নি। ব্রিটিশরা যে মতবাদের বীজ বপন করে গেছে সেই ওহাবী মতবাদ আজ ডাল পালা মেলে বট বৃক্ষ রূপে বিস্তার লাভ করেছে। করছে বিরোধিতা....
আর বাঙালিও নিজেদের সাংস্কৃতি (মীলাদকিয়াম) ভুলে পহেলা বৈশাখথার্টি ফাস্ট নাইটভ্যালেন্টাইন ডেবিভিন্ন পুজায় গিয়ে মশগুল হয়েছে ।
আফসোস আমাদের জন্য......!