আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার দাবি



হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানানো হয়েছে। রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে এ দাবি জানান মাওলানা ফরীদ ঊদ্দীন মাসঊদ।

জাতীয় দ্বীনী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ‘আজ  কওমি মাদ্রাসা শুধু নয়, সারাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।

তিনি বলেন,  আমার ভাই (মুফতি রুহুল আমীন) আপনাকে কওমি জননী বলেছেন। সেই মায়ের দরদ দিয়ে এদেশের গ্রামাঞ্চলে মসজিদের  ইমাম-মুয়াজ্জিন আছেন যারা ৭০০-৮০০ টাকা বেতন পান। ভারত-মিসরসহ অনেক দেশে  ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়া হয়। আমরা হিসেবে করে দেখেছি ইমামদের  ৫ হাজার ও মুয়াজ্জিনদের ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। তবে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটির বেশি টাকা লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী আল্লাহ বড় আপনার দিল দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের  আপনি আশ্রয় দিয়েছেন। আরেকটি দাবি হচ্ছে,  বাংলাদেশের কোনও আলেমকে আজ  পর্যন্ত  স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়নি। আহমদ শফী কওমির খেদমত করেছেন, ওলামা কেরামকে একত্রিত করে সেবা করেছেন। আমি মনে করি উনি (শফী) স্বাধীনতা পদক পেতে পারেন। আশা করছি এ বছর স্বাধীনতা পদক প্রদানের সময় এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত এই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি সনদের স্বীকৃতি দেওয়ায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে সারাদেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও আলেমরা উপস্থিত হন। সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী। প্রধানমন্ত্রী সকাল পৌনে ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। মঞ্চে আসন গ্রহণ করার আগে কওমি নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দিয়ে স্বীকৃতি প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানান শাহ আহমদ শফী। এছাড়াও শুকরিয়া আদায় করে দোয়া করেন শফী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।